মহাবিশ্বের ইতিহাসে নতুন চমক!
মহাবিশ্বের জন্মের মাত্র ৩০ কোটি বছর পর গঠিত একটি দূরবর্তী গ্যালাক্সিতে অক্সিজেনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গ্যালাক্সিটির নাম JADES-GS-z14-0, আর এতে ভারী মৌল পেয়ে যাওয়ায় বিজ্ঞানীরা বেশ অবাক।
এই গ্যালাক্সি প্রথম ধরা পড়ে James Webb টেলেস্কোপের চোখে। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩.৪ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। কিন্তু বড় চমকটি আসে ALMA নামক অন্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে, যেখানে স্পষ্টভাবে অক্সিজেনের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যালাক্সির ভেতরের থেকে প্রাপ্ত [O III] রেডিও সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এর রেডশিফট বা “কিরণরেখার সরে যাওয়া”র মান z = 14.18। এর মানে, গ্যালাক্সিটি আমাদের থেকে খুব দ্রুতগতিতে সরে যাচ্ছে এবং বর্তমানে অনেক দূরে অবস্থিত।
এই রকম তরুণ একটি গ্যালাক্সিতে অক্সিজেন থাকার অর্থ হলো – সেখানে আগে একাধিক প্রজন্মের তারারা জন্ম নিয়েছে এবং সুপারনোভার মাধ্যমে ভারী মৌল চারিদিকে ছড়িয়েছে।
বিজ্ঞানীদের এতদিনকার ধারণা ছিল, মহাবিশ্বের এই শুরুর সময়ে কেবল হাইড্রোজেন আর হিলিয়ামের মতো হালকা মৌলই ছিল।
এখন প্রশ্ন উঠছে – এত কম সময়ে কিভাবে এত ভারী মৌলের সৃষ্টি হলো? এটি আমাদের মহাবিশ্বের শুরু ও গ্যালাক্সি গঠনের ধারণাকে নতুনভাবে ভাবতে বাধ্য করছে।
গবেষকরা বলছেন, তারা আশা করছিলেন শিশু গ্যালাক্সি দেখতে পাবেন, কিন্তু বাস্তবে একেবারে কিশোর অবস্থার গ্যালাক্সি ধরা পড়েছে ! গবেষণায় অংশ নেওয়া বিজ্ঞানী স্যান্ডার স্কাউস বলেন – “শিশু খুঁজতে গিয়ে টিনএজার পেলাম!”
এই আবিষ্কার প্রমাণ করছে, মহাবিশ্বে গ্যালাক্সি গঠনের গতি ও প্রক্রিয়া হয়তো আমরা যতটা ভাবতাম, তার চেয়ে অনেক দ্রুত ও জটিল।
