দ্রুতগতিতে বাড়ছে লিথিয়ামের চাহিদা, ২০৩০ সালের মধ্যে ঘাটতির শঙ্কা !
দ্রুত বাড়তে থাকা ইলেকট্রিক যানবাহনের (EV) চাহিদা আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বিশ্বকে বড় ধরনের লিথিয়াম সংকটের মুখে ফেলতে পারে। কারণ ইভি ব্যাটারির মূল উপাদান এই ধাতুর সরবরাহ ২০৩০ সালের মধ্যে চাহিদার তুলনায় অনেকটাই কম পড়তে পারে—বিশেষ করে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে, যেগুলো আজকের বৈশ্বিক ইভি বিক্রির ৮০ শতাংশের বেশি দখলে রেখেছে।
⚠️ কী বলছে গবেষণা?
এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালে বার্ষিক লিথিয়াম কার্বনেট ইকুইভ্যালেন্ট (LCE) চাহিদা দাঁড়াবে:
- চীন: ১৩ লক্ষ মেট্রিক টন
- ইউরোপ: ৭.৯২ লক্ষ মেট্রিক টন
- যুক্তরাষ্ট্র: ৬.৯২ লক্ষ মেট্রিক টন
অন্যদিকে, সম্ভাব্য উৎপাদন হবে:
- চীন: সর্বোচ্চ ১১ লক্ষ
- যুক্তরাষ্ট্র: ৬.১ লক্ষ
- ইউরোপ: মাত্র ৩.২৫ লক্ষ মেট্রিক টন
এই ঘাটতির ফলে আমদানির ওপর নির্ভরতা বাড়বে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ তৈরি হবে।
📉 কেন ঘটছে এমনটা?
গবেষণা সহ-লেখক ড. আন্দ্রে মানবার্গার জানান, আগের অনেক গবেষণা শুধু মজুত ও বর্তমান খননের হারের তুলনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু খনি সম্প্রসারণের বাস্তবতা, পরিবেশগত বাধা ও বিনিয়োগ ঝুঁকি নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা হয়নি।
🔄 সম্ভাব্য সমাধান কী?
গবেষকরা সম্ভাব্য কয়েকটি পথ দেখিয়েছেন:
- বিনিয়োগ বাড়ানো: উচ্চ লিথিয়াম মূল্য নতুন খনি প্রকল্পে বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
- প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন: আরও দক্ষ ও লিথিয়াম-ঘন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের তাগিদ থাকবে।
- বিকল্প ব্যাটারি: সোডিয়াম-আয়ন বা অন্যান্য বিকল্প ব্যাটারি বাজারে বৈচিত্র্য আনতে পারে।
- পুনর্ব্যবহার: পুরনো ব্যাটারি থেকে লিথিয়াম পুনরুদ্ধার ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
📌 উপসংহার:
বৈশ্বিকভাবে ইভি ব্যবহারে যে গতি এসেছে, তা টেকসই করতে হলে শুধু গাড়ি নয়, ব্যাটারি উপাদানগুলোর টেকসই ও নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করাও জরুরি। গবেষকেরা বলছেন—এখনই প্রস্তুতি না নিলে, ২০৩০-এর পর বৈশ্বিক ইভি বিপ্লব বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে।