---Advertisement---

সৌর ঝড় থেকে আগাম সতর্কতা

Published On:
করোনাল মাস ইজেকশন
---Advertisement---

পৃথিবীর ইলেকট্রনিক্স রক্ষায় নতুন আশার আলো

ভবিষ্যতে হয়তো আমরা এমন শক্তিশালী সৌরঝড় আগেই আন্দাজ করতে পারবো, যা পৃথিবীর ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিকে ধ্বংস করতে পারে, অন্তত অর্ধদিন আগে থেকেই সতর্কতা পাওয়া সম্ভব হবে।

সূর্য মাঝে মাঝে প্লাজমার প্রবল বিস্ফোরণ ঘটায়, যাকে বলা হয় করোনাল মাস ইজেকশন বা CME। এই বিস্ফোরণগুলো প্রবল চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা পৃথিবীর ইলেকট্রনিক যন্ত্রের জন্য মারাত্মক হতে পারে। কিন্তু সমস্যাটা হলো, কোন CME আসলে বিপজ্জনক হবে তা নির্ভুলভাবে বোঝা কঠিন, কারণ এটি নির্ভর করে ওই CME-এর ভেতরের চৌম্বক ক্ষেত্রের ওপর।

আমাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যন্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে স্থিতিশীল কক্ষপথে থাকা ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্ট উপগ্রহগুলো। এগুলো পৃথিবী থেকে কয়েক লক্ষ কিলোমিটার দূরে হলেও সূর্য ও পৃথিবীর দূরত্বের মাত্র প্রায় ১ শতাংশে অবস্থান করে। এই কারণেই তারা সাধারণত এক ঘণ্টারও কম সময় আগে সতর্কতা দিতে পারে।

এখন অস্ট্রিয়ার গ্রাজে অবস্থিত স্পেস ওয়েদার অফিসের এমা ডেভিস ও তাঁর দল ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার Solar Orbiter ব্যবহার করে আরও আগাম সতর্কতা দেওয়ার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। Solar Orbiter সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ দূরত্বে কক্ষপথে ঘোরে।

এই বছর ১৭ ও ২৩ মার্চ, যখন Solar Orbiter পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে ছিল, তখন দুটি CME যুগল আমাদের দিকে ছুটে আসে। ডেভিস ও তাঁর দল মহাকাশযানের পরিমাপ করা চৌম্বক ক্ষেত্র ও সৌর বায়ুর গতি ব্যবহার করে CME-এর অভ্যন্তরীণ গঠন বিশ্লেষণ করেন। এরপর তারা ৭ এবং ১৫ ঘণ্টা আগেই পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হন যে প্রতিটি CME কতটা প্রবল ভূ-চৌম্বক ঝড় তৈরি করবে।

তবে ডেভিস জানান, এই ঝড়গুলো এখনো পুরোপুরি নির্ভুলভাবে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন, কয়েক ঘণ্টার অনিশ্চয়তা থেকেই যায়।

Follow Us On

---Advertisement---

Leave a Comment