---Advertisement---

হাজার বছর চলবে ডায়মন্ড ব্যাটারি

Published On:
---Advertisement---

ডায়মন্ড ব্যাটারি হৃদরোগীদের জন্য – এবং মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য


শক্তিশালী ও টেকসই ব্যাটারির উন্নয়ন এখন সবুজ জ্বালানির রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সূর্য ও বাতাস থেকে সংগৃহীত শক্তি সংরক্ষণের জন্য উন্নত ব্যাটারি দরকার, যা কম আলো বা বাতাসের সময়ে ব্যবহার করা যায়। এতদিন সবচেয়ে টেকসই ব্যাটারি ছিল ২০ বছরের আয়ুসম্বলিত লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। কিন্তু এখন গবেষকরা এমন এক ব্যাটারি তৈরি করেছেন, যা হাজার বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউকে অ্যাটমিক এনার্জি অথরিটির বিজ্ঞানীরা একটি ডায়মন্ড ব্যাটারি তৈরি করেছেন, যা কার্বন-১৪ আইসোটোপ থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করে। কার্বন-১৪ সাধারণত প্রত্নতত্ত্বে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি প্রায় ৫৭০০ বছরে ধীরে ধীরে নাইট্রোজেন-১৪-তে পরিণত হয় এবং বিটা রশ্মি ছাড়ে। এই রশ্মির ইলেকট্রন থেকেই ডায়মন্ড ব্যাটারি বিদ্যুৎ তৈরি করে, ঠিক যেমন সৌর প্যানেল আলো থেকে শক্তি তৈরি করে। ডায়মন্ড খুব শক্ত, তাই এটি সহজেই এই বিকিরণ আটকে রাখতে পারে। এই নতুন ব্যাটারির আকার মাত্র ১০ x ১০ মিমি এবং পুরুত্ব ০.৫ মিমি। এটি কৃত্রিম ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি, যা দ্রুত ও কম খরচে তৈরি করা যায়। কার্বন-১৪ও সহজলভ্য, কারণ এটি পারমাণবিক চুল্লির বর্জ্য গ্রাফাইট ব্লক থেকে সংগ্রহ করা হয়। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে স্পেস টেকনোলজি, নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি এবং শরীরের ইমপ্লান্টে ব্যবহৃত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্রিস্টলের গবেষক টম স্কট।

Follow Us On

---Advertisement---

Leave a Comment